খালেদা জিয়ার জীবদ্দশায় বাংলাদেশপন্থী লড়াইয়ের ফল দেখে গেছেন: ফারুকী

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশজুড়ে চলছে শোকের মাতম। তবে শোকের মাঝেও আলোচনায় উঠে আসছে তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসহীনতা। এক সময়কার সমালোচকরাও খালেদা জিয়ার সবার আগে বাংলাদেশ নীতিকে গ্রহণ করছেন, যা বাংলাদেশের রাজনীতির এক নতুন মোড় বলে মন করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। 

দীর্ঘদিন ধরে দেশের একটি বিশেষ মহল জিয়া পরিবার ও বিএনপির রাজনীতিকে সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়েছে উল্লেখ করে এক পোস্টে ফারুকী লেখেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক বিশাল পরিবর্তন ঘটেছে। জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতিকে বছরের পর বছর ধরে যারা সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক মহলের যোগসাজশে অবজ্ঞা করতে চেয়েছিলেন, তারাই আজকে জিয়া-খালেদা জিয়ার বাংলাদেশপন্থী রাজনীতিকে উদ্‌যাপন করছেন। এ থেকে বোঝা যায়, দেরিতে হলেও তারা বুঝতে পেরেছেন যে সার্বভৌমত্ব এবং বাংলাদেশ প্রথম নীতিকে অগ্রাহ্য করার আর সুযোগ নেই।’ 

উপদেষ্টা আরও লিখেছেন, ‘অন্য কোনো প্রশ্নের অজুহাতে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন আড়াল করা যাবে না; বাংলাদেশের জন্য চব্বিশের বিপ্লব এটাই শ্রেষ্ঠ উপহার! আনন্দের বিষয় এই যে, বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণভাবে এবং দৃঢ়তার সাথে দীর্ঘদিন যে আদর্শের জন্য লড়াই করেছেন, জীবদ্দশায় তিনি তার ফল দেখে গেছেন।’ 

সবশেষে ফারুকী লিখেছেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) যে আজকে এমন সম্মানজনক বিদায় নিয়ে যাচ্ছেন, তার পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ দেশের প্রশ্নে তাঁর অনমনীয় অবস্থান। এই একই কারণেই বর্তমান প্রজন্মের কাছে তিনি এতটা প্রাসঙ্গিক।’

অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায়। এভার কেয়ার হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন। গতকাল ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এ নেত্রী।