প্রিসিশন অনকোলজিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা বিএমইউ উপাচার্যের

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৫০ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ক্যান্সার চিকিৎসায় আধুনিক প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার আরও বিস্তারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। 

তিনি জানান, বিএমইউতে ৩৮ কোটি টাকায় অত্যাধুনিক এআই-ভিত্তিক রেডিওথেরাপি মেশিন স্থাপন করা হবে এবং একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার গবেষণা ও চিকিৎসা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

শনিবার (১ নভেম্বর) বিএমইউয়ের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগে “প্রমাণভিত্তিক প্রিসিশন অনকোলজি: শিক্ষা, গবেষণা ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের সমন্বয়” শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় প্রিসিশন অনকোলজির ভবিষ্যৎ, ক্যান্সার চিকিৎসায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, আধুনিক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা ও গবেষণাভিত্তিক চিকিৎসা মডেল নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। 

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, “প্রিসিশন অনকোলজি ভবিষ্যতের চিকিৎসা ব্যবস্থা নির্ধারণ করবে। আমরা চাই বিএমইউ হোক সেই পরিবর্তনের নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এটি এক শিক্ষণীয় সময়—যেখানে প্রযুক্তি, গবেষণা ও ক্লিনিক্যাল দক্ষতার সমন্বয় ঘটাতে হবে।”

তিনি আরও জানান, “অনকোলজি বিভাগে এআই-ভিত্তিক রেডিওথেরাপি মেশিন কেনার জন্য ৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। পাশাপাশি, বিএমইউতে একটি ক্যান্সার গবেষণা ও চিকিৎসা ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে রোগীরা আন্তর্জাতিক মানের সেবা পান এবং শিক্ষার্থীরা সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন।”

ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, “ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টার সিঙ্গাপুরের সঙ্গে শিগগিরই একটি সমঝোতা চুক্তি হবে, যা বাংলাদেশের ক্যান্সার গবেষণা ও চিকিৎসায় নতুন অধ্যায় খুলে দেবে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টার সিঙ্গাপুরের প্রফেসর ডা. হান চং তোহ বলেন, “বাংলাদেশ এখন প্রিসিশন অনকোলজির বাস্তব প্রয়োগে প্রবেশ করছে। গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি একত্রে ব্যবহৃত হলে দেশ ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন মানদণ্ড স্থাপন করতে পারবে।”

তিনি প্রিসিশন অনকোলজির বৈশ্বিক অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, “এআই ও জিনোমিক ডেটার সমন্বয় ভবিষ্যতের চিকিৎসাকে ব্যক্তি-নির্ভর করে তুলবে—যেখানে প্রতিটি রোগী পাবেন তার জন্য নির্দিষ্ট চিকিৎসা পরিকল্পনা।”

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন বিএমইউয়ের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হুসাইন। এছাড়া অনকোলজি বিভাগের এমডি ও এফসিপিএস রেসিডেন্টরা নিজেদের কারিকুলাম ও কেস প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।


আমার বার্তা/এমই