দেড় বছরেও খেলা শুরু হয়নি কুবির বাস্কেট বল গ্রাউন্ডে
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩ | অনলাইন সংস্করণ
বুশরা আক্তার, কুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নির্মিত বাস্কেটবল গ্রাউন্ডটি দেড় বছর আগে কাজ শুরু হলেও সেখানে খেলা শুরু হয়নি। ফলে খেলাধুলা ও বিনোদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
২০২৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক উন্নয়নে সহায়ক পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক মানের বাস্কেট গ্রাউন্ড নির্মাণ শুরু হয়। কাজ শেষ হলেও এই গ্রাউন্ডে শুরু হয়নি কোন প্রকার খেলা বা টুর্নামেন্ট। তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পর এই গ্রাউন্ডের কাজ শেষ না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাস্কেটবল গ্রাউন্ড নির্মাণের জন্য পাহাড়ের প্রায় ৮০ ফুট কেটেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আইনে পাহাড় বা টিলা কাটার বিষয়ে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া পাহাড় কেটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই গ্রাউন্ডটি নির্মাণ করেন।
বাস্কেটবল গ্রাউন্ড নির্মাণের কাজ দেড় বছর হয়ে গেলেও এখনো কাজ সম্পূর্ণ করতে পারি নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। খেলোয়াড় কমিটি কতৃক খেলার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে না। তাছাড়া ও আয়োজন করা হচ্ছে না কোনো টুর্নামেন্টে বা প্র্যাক্টিস ম্যাচ।
এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে মো: সুজন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, একটা গ্রাউন্ডই করে রাখছে প্রশাসন। এটার আর কোন কাজ নেই। আমরা যদি খেলতেই না পারি তাহলে এই গ্রাউন্ড করে কি লাভ হলো? আমরা অনতিবিলম্বে এই গ্রাউন্ডে খেলা আয়োজন করার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই।
শারীরিক শিক্ষা দপ্তরে মনিরুল আলম বলেন, বাস্কেট বল নির্মাণ করার জন্য যে প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৫ আগস্টের পর তারা পালিয়ে যায় এই জুনে তাদের কাজের মেয়াদ শেষ হয়। আমরা বর্তমান ক্রিয়া কমিটির সাথে কথা বলে অস্পূর্ণ কাজের জন্য একটি বাজেট পেশ করবো ভিসি স্যারের কাছে ওনি অনুমোদন দিলে দ্রুত কাজ শেষ করে প্র্যাক্টিস ম্যাসের আয়োজন করবো এবং পরে টুর্নামেন্ট দেওয়া হবে।
তবে এই প্রকল্পের দায়িত্বরত প্রকৌশলী মো: মফিজুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করেছে।
ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, "বাস্কেট বল গ্রাউন্ডের কাজ এখনো শেষ হয়নি গত বাজেটটি ছিলো ফ্লোর তৈরি করা এই বছর আমরা নতুন বাজেট দিয়েছি এর মাধ্যমে সকল কাজ সম্পূর্ণ করে আগামীতে আমরা খেলাটি শুরু করতে পারবো"।
রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিবছর খেলোয়াড় কমিটি খেলার আয়োজন করে। তাই এই কমিটি বলতে পারবে খেলোয়াড় কমিটি কেন উদ্যাগ নিচ্ছে না, ছাত্ররা কেন খেলছে না।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী বলেন, আমি এই বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। আমার কাছে ফাইল আসলে আমি খুব দ্রুত ব্যবস্থা করে দিবো।
আমার বার্তা/জেএইচ
